কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য Agriculture Admission 2021

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য Agriculture Admission 2021 প্রকাশ করা হয়েছে।

কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে ১ম বর্ষ স্নাতক শ্রেণীতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রক্রিয়া আজ ১৯ এপ্রিল ২০২১ সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির অনলাইন সভায় চুড়ান্ত করা হয়েছে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি

সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ০২ মে ও শেষ হবে ১০ জুন ২০২১। এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩১ জুলাই, ২০২১ শনিবার সকাল ১১-৩০ টা থেকে ১২-৩০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তির ফলাফল প্রকাশ হবে ০৫ আগস্ট ২০২১। ভর্তির আবেদনের তারিখসহ ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে (www.bsmrau.edu.bd) পাওয়া যাবে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য Agriculture Admission 2021

 

আরও পড়ুনঃ অন্যান্য সকল বিশ্ববিদ্যলয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১

আবেদন করার যােগ্যতাঃ

ক) যে সকল ছাত্রছাত্রী ২০১:/২০১৮ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০১৯/২০২০ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ হতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবলমাত্র তারাই আবেদন করতে পারবে।

খ) আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমােট ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। তবে মােট আসন সংখ্যার ১০ (দশ) গুণ প্রার্থীকে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমূহে প্রাপ্ত মােট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযােগ দেওয়া হবে।

গ) 0 এবং A লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে 0 লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং A লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমােট ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। উল্লেখ্য যে, 0 এবং A লেভেল এর ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে A গ্রেডের জন্য ৫, B গ্রেডের জন্য ৪, C গ্রেডের জন্য ৩,৫ এবং D গ্রেডের জন্য ৩ পয়েন্ট গণ্য করা হবে।

আবেদনের নিয়মাবলীঃ

ক) আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য www.admission-agri.org ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

খ) মােবাইল ফোন নম্বর প্রদানের স্থানে নিজের ফোন নম্বর প্রদান করতে হবে। sms এর মাধ্যমে PIN/লগইন পাসওয়ার্ড ও ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি এ নম্বরে জানানাে হবে।

গ) কোটায় আবেদনকারীদেরকে কোটা সংক্রান্ত সনদ এবং O/A লেভেলের আবেদনকারীদেরকে O/A লেভেল পরীক্ষার ট্রান্সক্রিপ্ট এর স্ক্যান-কপি অনলাইন আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে আপলােড করতে হবে। কোটায় আবেদনকারী হলে কোটার ঘরে ‘সাধারণ নির্বাচন/সিলেক্ট করতে হবে।

আবেদন ফিঃ

আবেদন ফি টাকা ১০০০/- (এক হাজার) মাত্র ‘নগদ’, ‘বিকাশ’ বা ‘রকেট’- এর মাধ্যমে অনলাইন ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মােতাবেক জমা দিতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে ফি জমা দিতে না পারলে আবেদনের শেষ তারিখের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। যেহেতু মােট আসন সংখ্যার ১০ (দশ) গুণ প্রার্থীকে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমূহে প্রাপ্ত মােট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযােগ দেওয়া হবে, সেহেতু যে সকল প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযােগ পাবে না, তাদেরকে আবেদন সংক্রান্ত প্রসেসিং ফি বাবদ ৩০০.০০ টাকা কেটে রেখে অবশিষ্ট ৭০০.০০ টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে। এজন্য আবেদনের সময় অনলাইন ফরমের নির্ধারিত স্থানে ‘নগদ’, ‘বিকাশ’ বা ‘রকেট’-এর অবশ্যই একটি নিজস্ব একাউন্ট নম্বর দিতে হবে, যার মাধ্যমে আবেদনকারীকে টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে।

আবেদন ফি এবং ভর্তি ফি জমাদানের প্রক্রিয়াঃ

• ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে নগদ’, ‘বিকাশ’ বা ‘রকেট’-এর যে কোন একটি মাধ্যমকে সিলেক্ট করলে যে স্ক্রিন/ইন্টারফেস আসবে তাতে মােবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের নম্বর দিতে হবে এবং শর্তাবলীতে সম্মতি দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

• উক্ত মােবাইল একাউন্ট নম্বরে sms-এর মাধ্যমে একটি ভেরিফিকেশন কোড বা One Time Password (OTP) আসবে। সেটি পেমেন্ট স্ক্রিন/ইন্টারফেস-এ ইনপুট দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

• এরপর একাউন্ট নম্বরের পিন দিতে হবে এবং পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। পেমেন্ট সফল হলে সাথে সাথেই একটি কনফার্মেশন sms পাওয়া যাবে।।

পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণঃ

আবেদনকারী যে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র হতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তা পরীক্ষা কেন্দ্রের পছন্দক্রমের ঘরে নির্বাচন করতে হবে। এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমূহের মােট নম্বরের মেধাক্রম এবং কেন্দ্রের পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারিত হবে।

ছবি আপলােডঃ

যে সকল প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযােগ পাবে, তাদের তালিকা প্রকাশের পর হতে প্রবেশপত্র ডাউনলােড করার পূর্ব পর্যন্ত পাসপাের্ট আকারের সম্প্রতি তােলা একটি রঙ্গিন ছবির সফ্ট কপি (৫০ কিলােবাইটের মধ্যে jpg ফরম্যাটে) লগইন করে নির্ধারিত স্থানে আপলােড করতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছবি ব্যতীত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে না।

পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বন্টনঃ

MCQ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি/সমমান পর্যায়ের ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

ফলাফল প্রস্তুতিঃ

মােট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সাথে এসএসসি/সমমানের জন্য ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যােগ করে ফলাফল প্রস্তুত করতঃ মেধা ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হবে যা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এসএসসি/সমমানের জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমুহের প্রাপ্ত নম্বর যােগ করে ৪০০ নম্বরের জন্য ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমূহের প্রাপ্ত নম্বর যােগ করে ৮০০ নম্বরের জন্য ২৫ বিবেচনা করা হবে।

উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক একজন প্রার্থী উল্লিখিত বিষয়সমূহে এসএসসি/সমমানে ৪০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে মােট ৩২৭ নম্বর এবং এইচএসসি/সমমানে ৮০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে মােট ৬৭৩ নম্বর। সেক্ষেত্রে ফলাফল প্রস্তুতির সময় তার এসএসসি/সমমানের নম্বর হবে (৩২৭/৪০০)x২৫= ২০.৪৩৭৫ এবং এইচএসসি/সমমানের নম্বর হবে (৬৭৩/৮০০)x ২৫= ২১.০৩১২৫। 0 এবং A লেভেল প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে।

ফলাফল প্রস্তুতের সময় যদি একাধিক প্রার্থীর মােট নম্বর সমান হয়ে যায় তবে তাদের মধ্যে মেধাক্রমে কে আগে ও পরে হবে তা নির্ধারণে নিমের প্রাধান্যক্রম অনুসরণ করা হবে, অর্থাৎ যার নম্বর বেশি হবে সে প্রাধান্য পাবে;

ক) ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর,

খ) এইচএসসি/সমমানের উল্লিখিত বিষয়সমূহের প্রাপ্ত মােট নম্বর,

গ) এইচএসসি/সমমানের প্রথমে জীববিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর, তারপর রসায়ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর, তারপর পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর এবং শেষে গণিত বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর,

ঘ) এসএসসি/সমমানের প্রথমে জীববিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর, তারপর রসায়ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর, তারপর পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর এবং শেষে গণিত বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর। এরপরও যদি একাধিক প্রার্থীর মােট নম্বর একই সমান পাওয়া যায় তখন যে আগে আবেদন করেছিল তাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

অপশন/পছন্দক্রম প্রদানঃ

পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর মেধা ও অপেক্ষমান তালিকায় স্থান প্রাপ্তদেরকে কাঙ্খিত বিষয়সমূহের অপশন/পছন্দক্রম প্রদান করার জন্য সময় দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্খিত বিষয়সমূহের মধ্য থেকে পছন্দক্রম প্রদান করতে হবে। একবার পছন্দক্রম প্রদান করা হলে উক্ত সময়ের মধ্যে তা আবার পরিবর্তন করা যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর কোনভাবেই আর পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে না। মেধাক্রম ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে প্রার্থীগণ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিষয়ের/ডিগ্রির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হবে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং Sms-এর মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হবে।

কোটা, 0 এবং A লেভেল পাসকৃত প্রার্থীদের ডকুমেন্টস যাচাইঃ

পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর মেধা ও অপেক্ষমান তালিকায় স্থান প্রাপ্ত কোটা/O এবং A লেভেল পাসকৃত প্রার্থীদের ডকুমেন্টস যাচাইয়ের জন্য সময় বেধে দেওয়া হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে তাদেরকে কোটা O এবং A লেভেলের মুল ডকুমেন্টসসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। যাচাই শেষে যে সকল প্রার্থীর ডকুমেন্টস সঠিক হিসেবে বিবেচিত হবে শুধু তারাই কোটা/ O এবং A লেভেলের সুবিধা পাবে।

কোটার প্রার্থীদেরকে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস সাথে নিয়ে আসতে হবে:

(ক) মুক্তিযােদ্ধা কোটার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদ। মুক্তিযােদ্ধার নাতিনাতনিদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযােদ্ধার অমুক পুত্র/কন্যার সন্তান এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখপূর্বক সনদ;

(খ) উপজাতি/আদিবাসী কোটার জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সনদ;

(গ) প্রতিবন্ধী কোটার জন্য উপজেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তার সনদ;

(ঘ) হরিজন-দলিত কোটার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদ;

(ঙ) পােষ্য এর ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত সনদ;

(চ) প্রবাসীর সন্ত্রানের ক্ষেত্রে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত সনদ;

(ছ) বিকেএসপির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সনদ;

(জ) সিটমহলের ক্ষেত্রে জেলা প্রসাশন কর্তৃক প্রদত্ত সনদ।

ভর্তি প্রক্রিয়া

(ক) ভর্তি প্রক্রিয়া দুইটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে মেধা তালিকায় স্থান প্রাপ্তদেরকে ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (www.admission-agri.org) নগদ’, ‘বিকাশ’ বা ‘রকেট’-এর মাধ্যমে ১০,০০০.০০ (দশ হাজার) টাকা জমাদানপূর্বক ভর্তি-প্রার্থীতা নিশ্চিত করতে হবে। ভর্তিচ্ছু প্রার্থী যদি তার বিশ্ববিদ্যালয়/বিষয়/ডিগ্রির অটোমাইগ্রেশন বন্ধ করতে চায় তবে তাকে অবশ্যই ভর্তির পর অনলাইনে গিয়ে (www.admissionagri.org) অটোমাইগ্রেশন অপশনটি বন্ধ করে দিতে হবে।

(খ) ভর্তির পর আসন খালি থাকা সাপেক্ষে অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন করার পর শুন্য আসনসমূহের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। উল্লিখিত খালি আসনসমুহে ভর্তি হতে আগ্রহী অপেক্ষমান তালিকার প্রার্থীদেরকে অনলাইনে গিয়ে ভর্তির আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে। আগ্রহ প্রকাশ করা অপেক্ষমান তালিকার প্রার্থীদের মধ্য হতে শন্য আসনসমূহে মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়/ডিগ্রি নির্বাচন করা হবে। এই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং sms-এর মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে ভর্তি প্রক্রিয়ার ধারা নং ১৩ (ক)-এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী ভর্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। অটোমাইগ্রেশনের যে কোন পর্যায়ে অটোমাইগ্রেশন বন্ধ করতে চাইলে অনলাইনে লগইন করে তা করতে হবে।।

(গ) পরবর্তীতে যদি আসন খালি থাকে, তবে ভর্তি প্রক্রিয়ার ধারা নং ১৩ (খ)-এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।

কতবার অটোমাইগ্রেশন হবে তা আসন খালি থাকার উপর ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে, যা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং sms-এর মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হবে।

(ঘ) সর্বশেষ অটোমাইগ্রেশন ও ভর্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর ভর্তি হওয়া প্রার্থীদের রােল নম্বর ও নামসহ প্রত্যেকের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়/ডিগ্রির তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং sms এর মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হবে।

(ঙ) ভর্তির দ্বিতীয় ধাপে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদেরকে চূড়ান্তভাবে প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত ভর্তি ফি এর পরিমাপের সাথে প্রথম ধাপে জমাকৃত ১০,০০০.০০ টাকা সমন্বয় করতঃ অবশিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এবং ভর্তির জন্য মূল ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র ও কোটা ডকুমেন্টস জমা দিয়ে ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

উল্লেখ্য, ভর্তির দ্বিতীয় ধীপে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত কোন প্রার্থী তার প্রযোজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে, অথবা ভর্তি ফি এর অবশিষ্ট টাকা জমা দিলে, বা মূল ডকুমেন্টস-এর কোন একটি জমা দিতে ব্যর্থ হলে তার ভর্তির সুযােগ থাকবে না। প্রার্থীদেরকে পূর্বে জমাকৃত ১০,০০০.০০ টাকা সমন্বয় করতঃ আর কত টাকা ভর্তি ফি জমা দিতে হবে তা sms-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং ওয়েবসাইটে লগইন করেও প্রার্থীরা জেনে নিতে পারবে।

ভর্তি বাতিল

ভর্তিকৃত কোন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বাতিল করে তার ট্রান্সক্রিপ্ট এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস ফেরৎ নিতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করতে হবে। এর জন্য ১০,০০০.০০ টাকা ভর্তি বাতিল ফি জমা দিতে হবে।

বিবিধ

ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং প্রয়ােজনে কমিটি যে কোন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ও পরিমার্জনের অধিকার রাখে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য Agriculture Admission 2021

গুচ্ছ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন নির্দেশিকা PDF ডাউনলোড

 

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ভর্তি আবেদন লিঙ্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *